Drawing And Painting
Halka বাংলাদেশী চলচিত্রে এনিমেশন ব্যবহারের সূচনা
জী হ্যাঁ আবারো এনিমেশন নিয়ে লিখা। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি হঠাৎ এত এনিমেশন নিয়ে লিখছি কেন? আসলে বাংলাদেশে ইদানিং এত দারুন সব এনিমেশনের কাজ হচ্ছে যে না লিখে পারলাম না। অন্তত এসকল গুণী নির্মাতাদের কে আপনাদের কাছে তুলে ধরার দ্বায়িত্ববোধ থেকেই এই লিখা।
বর্তমানে চলচিত্রে সিজি (কম্পিউটার গ্রাফিকস) বা এনিমেশনের ব্যবহার অহরহ। হলিউডের বেশীর ভাগ চলচিত্রে সিজি এর ব্যবহার আজকাল সাধারন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তবে যদি বলি বাংলাদেশী চলচিত্রে সিজি এর ব্যবহার শুরু হয়েছে তাহলে অবাক হবেন নিশ্চই।
হ্যাঁ ঠিক এমনই একটি কাজ করে দেখিয়েছে ” হাল্কা ” নামের স্বল্প দৈর্ঘের (৪৫ মিনিট) প্যারোডি চলচিত্রটি। নামটা চেনা চেনা লাগছে তাইনা। হলিউড ফিল্ম হাল্কের মতই এবার বাংলাদেশেই তৈরী হল হাল্ক তবে নামটা হচ্ছে ” হাল্কা “
হাল্কার মূল চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন তিনি হলেন জাহিদুল আলম (সেলিম) । স্বল্প দৈর্ঘের এই চলচিত্রে যে সকল শিল্পী অভিনয় করেছেন তাদের প্রায় অনেকেই নবাগত শিল্পী। এমনো অনেকে আছেন যারা কখনো ক্যামেরার মুখমুখি হননি। সে হিসেবে বলা যায় ভালই অভিনয় করেছেন তারা। হাল্কা মুভিটির কিছু ক্লিপ http://www.youtube.com/user/rana3d এখান থেকে দেখতে পারেন। দেখে খুবই মজা পেলাম, নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনারাও আনন্দ পাবেন।
হাল্কা তৈরীর পেছনের কথা
হার্কা তৈরীর পেছনে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন তিনি হলেন সোহেল আফগানী রানা এবং তার টিম ” তার ছেড়াঁ ” । আমরা অনেকেই তারা কার্টুন “দুই বলদ” , “বাসে একদিন” দেখে এসেছি। তিনি এধরনের মজার মজার কার্টুনের মাধ্যমে আমাদের আনন্দ দিয়ে এসেছেন, আশা করা যায় হাল্কাও এ ধারা অব্যাহত রাখবে। হাল্কা তৈরীতে ব্যাবহার করা হয়েছে বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন 3D Studio Max 9 , Poser 7 , Particle Illusion , V-ray , Character Studio , After Effect , Realviz , Adobe Premiere ইত্যাদি।
স্বল্প দৈর্ঘের চলচিত্র হলেও আফগানী রানা এবং তার টিম যে দারুন একটি কাজ আমাদের উপহার দিয়েছেন সেজন্য তারা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। শুধু তাই নয় তারা যে চলচিত্রে সিজি ব্যবহারের ধারার সূচনা করেছেন অদূর ভবিষ্যতে হয়তো দেখা যাবে হলিউডের মত বাংলাদেশী চলচিত্রেও সিজি ব্যবহারের প্রচলন শুরু হবে। ” তার ছেড়াঁ ” ভবিষ্যতেও নতুন শিল্পিদের প্রাধান্য দেবে।
হাল্কা খুব শিঘ্রই রিলিজ হবে কোন নন-কনভেনশনাল থিয়েটারে এবং পরবর্তীতে ডিভিডি আকারে প্রকাশ পাবে।
আরো জানতে চোখ রাখুন এখানে –
http://digiart.forummotion.com/taar-cheera-f4/halka-independent-film-t6.htm
Facebook Group : http://www.facebook.com/group.php?gid=90745925551&ref=ts
I move my blog to foisal.com
অবশেষে অনেক দিনের ইচ্ছা পূরণ হল। ওয়ার্ডপ্রেস .কম এর বাইরে আলাদা হোস্টিং সার্ভারে ব্লগটি রাখার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। এখন থেকে ইচ্ছা মত ওয়ার্ডপ্রেস কে মডিফাই করতে পারবো , পছন্দের থিম ব্যাবহার করতে পারবো।
ভালোই লাগছে……..
এখন থেকে আমার নতুন পোষ্ট গুলো এখান থেকে দেখতে পাবেন
http://www.foisal.com/
ত্রাতুলের জগৎ গল্পের বই থেকে বেরিয়ে ত্রিমাত্রিক জগৎ এ
বাংলাদেশ যে এনিমেশন শিল্পে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে তার একটি উদাহরন হল “ত্রাতুলের জগৎ” এনিমেশন মুভি। “ত্রাতুলের জগৎ” হল জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর সাইন্সফিকশন গল্প । আর এই গল্পের উপর ভিত্তি করে তিনি এনিমেটেড মুভি তৈরী করার অনুমতি দিয়েছেন শম কম্পিউটার্স কে। অবশেষে এনিমেশন মুভিটি তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে । খুব শিঘ্রই আপনারা হয়তো এটি দেখতে পাবেন দেশীও কোন টিভি চ্যানেলে। আর আপনারা এটিএন বাংলায় প্রকাশিত ত্রাতুলের জগৎ এর ক্লিপটি দেখে নিতে পারেন এখান থেকে।
এনিমেশন মুভিটি তৈরীর পেছনের কথা
ত্রাতুলের জগৎ নির্মানের কাজ শুরু হয় ২০০২-০৩ সালের দিকে। এই এনিমেশনটি তৈরীতে ব্যবহৃত হয়েছে বেশকিছু জনপ্রিয় ৩ডি সফটওয়্যার যেমন- মায়া,পোজার,৩ডি স্টুডিও ম্যাক্স ইত্যাদি। গড়ে তোলা হয় দশ সদস্যের টিম। তাদের নেতা ছিলেন রাজীব আহমেদ। যিনি ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গেম “অরুণোদয়ের অগ্নিশিখা” নামের গেম তৈরীতে প্রতিবার স্বাক্ষর রেখেছেন। তবে রাতদিন কঠোর পরিশ্রমের পরও কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে এগনোর কারনে ধৈর্যচ্যুতি হতে শুরুকরে নির্মানকুশলীদের। একারনে তিন বছরের মাথায় সবরকম কর্মকান্ড বন্ধ করে দিতে বাধ্যহন শম কম্পিউটার্স এর প্রধান নির্বাহী আফরোজা হক।
তবে এমন একটি কাজের পরিসমাপ্তি কি এভাবে ঘটবে তা হতে পারেনা,হয় নি। খুব সম্প্রতি এই অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসে রাজশাহীর আরেকটি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান ” ম্যাজিক ইমেজ ” এর প্রধান নির্বাহী ইয়াসীন রেজা। শম কম্পিউটার্স এর সেই রাজীব আহমেদ হচ্ছেন তারই একজন প্রিয় ছাত্র। তবে এ কাজটি সমাপ্ত করতে হলে তাকে তৈরী করতে হবে ২৫টি চরিত্র এবং প্রায় ৪০টি সেট।
ব্যাস আর অপেক্ষা কিসের শুরু হয়ে যায় কাজ। তাদের টিমটির অসম্ভব পরিশ্রমের ফলস্বরূপ প্রায় দুমাসের মাথায় সম্পন্ন হয় ত্রাতুলের জগৎ এর কাজ। কাজের গতি বৃদ্ধির জন্য তারা কিছু সফটওয়্যার ও ডেভলপ করে। ৯০% কাজ সম্পন্ন করা হয় 3D Studio Max 8 দ্বারা । দ্রুত রেন্ডারিং এর সুবিধার্থে ব্যাবহার করা হয় লো-পলিগন টেকনিক।
ত্রাতুলের জগৎ তৈলী হয়ে গেছে, যা এখন শুধু প্রচারের অপেক্ষায়। খুব সম্প্রতি হয়তো কোন দেশীয় টিভি চ্যানেলে আপনারা এটি দেখতে পাবেন । ম্যাজিক ইমেজ প্রতিষ্ঠানটি এধরনের এনিমেশন মুভি তিন মাসের মধ্যে তৈরী করতে সক্ষম।
আরও জানতে লক্ষ রাখুনঃ http://www.drawtoon.com/2009/07/21/tratuler-jagat/
এনিমেশ মুভিটির কিছু স্ক্রিনশটঃ