Kuakata vromon

অনেকদিন ধরে ব্লগে লিখিনা, আসলে ব্যাস্ততার কারনে লিখা হয়নি। তবে এখন থেকে নিয়মিত লিখার চেষ্টা করবো।কয়েকদিন আগে বরিশাল কুয়াকাটায় বেড়াতে গিয়েছিলাম family সাথে। সবরকম ব্যবস্থা করেছিলেন আমার এক আংকেল। আসলে এর মধ্যেই হয়ে গেল আমার জীবনের প্রথম লঞ্চ ভ্রমন এবং সরাসরী সমূদ্র দেখা। গিয়েছিলাম পারাবাত-১১ লঞ্চে তবে পারাবাত – ৭ আর সুন্দরবন – ১১ খুব হাইফাই লঞ্চ। যা হোক রাতে রওনা দেয়ায় নদী ঠিকমত দেখা হয়নি। তবে লঞ্চে সারারাত ঘুমাইনি। লঞ্চের ডেকে বসে সারারাত মজা করেছি। আমরা ছিলাম ভিআইপি কেবিনে, তবে লঞ্চের নীচ তলায় শুয়ে শুয়ে যাবার মজাই আলাদা।

সকালে পৌছাইলাম বরিশালে। সেখানে আংকেলের ডাক বাংলোয় কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে মাইক্রোতে রওনা দিলাম কুয়াকাটার উদ্দ্যেশ্যে। প্রায় ১০০ কিমি দূরত্ব মনেহয়। আর রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। এই দূরত্বের অর্ধেকের বেশী রাস্তাই ভাঙ্গাচোরা। ঝাকি খেতে খেতে পেটের খাবার বের হওয়ার উপক্রম। তাই বলেরাখি কেউ গেলে রাস্তাঘাটের এই অবস্থা মোকাবেলা করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে নাহলে তা আপনার ভ্রমনের মজা নষ্ট করে দিতে পারে। প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে পাচটি ফেরী পার হয়ে অবশেষে পৌছালাম কুয়াকাটা সি-বীচে । হোটেলে গিয়ে ক্লান্তি দূর করতে সোজা সমূদ্রে ডুব দিলাম। অনেক মজা হল। সাতার জানিনা তবে জোয়ার চলছিল বলে বুক পানি পর্যন্ত নেমেছিলাম। সমুদ্রের লবনাক্ত আয়োডিন যুক্ত লবন পানি খেয়ে মনে হল বুদ্ধি বাড়ছে 🙂 ।

কুয়াকাটা এমন একটা যায়গা যেখানে সমূদ্রের তীরে দাড়িয়ে বাম দিক থেকে সূর্যদয় এবং ডান দিকে সূর্য অস্ত যেতে দেখতে পারবেন। আমি দুটোই দেখেছি। তবে সমূদ্রে তেমন কোন ভিড় দেখলাম না। আসলে যাতায়াত ব্যবস্থার তেমন ভালো সুবিধা না থাকায় হয়তো পর্যটক দের কাছে এটি তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। রাতের দিকে আবারো সী-বিচে গিয়ে ছিলাম। কি অসাধারন বাতাস আর সমূদ্রের গর্জন আর আকাশে তারার মেলা যেন একেবারে খাটি রোমান্টিক যায়গা 🙂 ।

পরদিন সকালে উঠে রাখাইন বৌদ্ধ মন্দির দেখতে বের হলাম। এটি নাকি এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মুর্তি, পুরনোও বটে। সী-বীচ থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে এটি, ভ্যানে যেতে আপডাউন ভাড়া ২০০ টাকা। নীচে ছবি দিয়েছি মুর্তি টার। দেখার মত সমুদ্র আর এই বৌদ্ধ মূর্তিই দেখেছি। কেউ যদি এখানে দেখার মত আরো কিছু যায়গার কথা বলতে পারেন তবে ভালো হয়। ভ্রমন শেষে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে স্টিমারে করে রাতে। সেদিন সম্ভবত ঢাকায় ঝড়তুফান হয়েছিল। আমরা নদীর মোহনায় ছিলাম। তখন হঠাৎ জোরে বাতাস বইতে শূরু করে। বাতাস এমন জোরে হচ্ছিল যে স্টিমারের ডেকের দুটা চেয়ার এবং আমার কাজিনের একটি সেন্ডেল উড়িয়ে নিয়েযায়। আমরা তাড়াতাড়ি কেবিনে চলে এলাম। আমাদের মা খালারা তো তসবিহ্ গনা শুরু করেছে। তবে পরে বাতাস থেমে বৃষ্টি হওয়া শুরু করে, যাক জানে বাচলাম।

এই হইলো গিয়া কুয়াকাটা ভ্রমন কাহিনী। নীচে কিছূ ছবি দিলাম দেখেন। ছবি অনেক গোলো তুলেছি কিন্তু নীচের ছবি গুলা পছন্দ হয়েছে। আমার ফটোগ্রাফির চোখ ছে মনে হয়। 🙂

ছবি:

শুটকি মাছ, উফ্ গন্ধ

বাচ্চা আনারস অনেক পুরোনো বৌদ্ধ মন্দির সী-বিচ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। �্যানে আপডাউন ২০০ টাকা জানামতে এটি এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি

9 comments

  1. রাসেল · May 7, 2008

    যেতে হবে দেখছি কুয়াকাটায়! 🙂

  2. Omi Azad · May 7, 2008

    Which camera you used for taking the photos?

  3. Darklord (: = · May 7, 2008

    Sony cybershot 5mp black camera

  4. ডাকর্লড ভাই কই হাওয়া হইয়া গেছিলেন? আপনার মোবাইল (গ্রমীণ) ও ব্ন্ধ। ফোরাম গুলোতেও আপনাকে দেখি না। নেটের উপর রাগ করলেন নাকি? আপনার নতুন মোবাইল নম্বরটা মেইল করেন । আপনার লগে অনেক কথা আছে।

  5. Darklord (: = · May 10, 2008

    হ্যা ভাই লম্বা একটা ব্রেক নিলাম । ফোরামও বেশ এ্যাডিকটিভ । তবে চিন্তা নাই এমাসেই আবার আগের ডার্কলর্ড ফিরিয়া আসিতেছে আসিতেছে আসিতেছে… … … ।
    নাম্বারটা মেইল কইরা দিমুনে।

    আপনের ইমেইল এ্যাড্রেসটা ভুইলা গেছি

  6. mehedi.dot@gmail এ ফোন নম্বরটা মেইল করেন।

  7. irteja · June 13, 2008

    কুয়াকাটা কখনো যাই নি। ছবিগুলো দেখে ছূটে যেতে ইচ্ছা করছে

  8. আরো ছবি দিতে পারতেন।

  9. Darklord (: = · May 3, 2009

    এগুলো আমার নিজের তোলা তাই এগুলো দিলাম বাকিগুলো এমনেই ফেমেলির ছবি

Leave a reply to Darklord (: = Cancel reply